গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন অর্ণব, একজন প্রতিশ্রুতিশীল বিজ্ঞানী, যিনি হাইফা জিন নিয়ে গবেষণা করছিলেন। এই জিন মানুষের শরীর ও ক্ষমতাকে পরিবর্তনের অসাধারণ ক্ষমতা রাখত। প্রথমে অর্ণবের উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতিকে রোগ এবং দুর্বলতা থেকে মুক্ত করা, কিন্তু তার গবেষণায় নৈতিক ভুল এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। GeneCore নামক একটি কর্পোরেশন অর্ণবের গবেষণাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তারা বিভিন্ন দেশের ল্যাবের মাধ্যমে এই জিনকে পরীক্ষা করে এবং এক নতুন প্রজাতি, অর্ধেক মানুষ-অর্ধেক দানব, তৈরি করে। টোকিও, নিউ ইয়র্ক এবং লন্ডনসহ বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ ভয়, গণমাধ্যমের প্রচার, সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপ এবং লকডাউন-সবই পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তোলে। অর্ণব নিজের দায় স্বীকার করে এবং মানবজাতিকে রক্ষা করার জন্য প্রতিষেধক তৈরিতে লেগে পড়ে। সে ইরা এবং সাংবাদিক রোহিত-এর সহায়তায় GeneCore-এর গোপন ঘাঁটিতে প্রবেশ করে এবং মানবজাতিকে হুমকি দেওয়া এই দানবীয় প্রাণীগুলোর উৎস খুঁজে বের করে। চূড়ান্ত লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্ণব তার প্রতিষেধক কার্যকর করে এবং দানবদের পরাজিত করে। প্রতিষেধকটি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে মানবজাতিকে সংরক্ষণ করে, যদিও কিছু মানুষের মধ্যে হাইফা জিনের অংশ রয়ে যায়। এই পরিবর্তন মানবজাতির মধ্যে এক নতুন বিবর্তন সূচনা করে। অর্ণব তার নৈতিক ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানকে মানবজাতির কল্যাণে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। গল্পের শেষ বার্তায় বলা হয় "বিজ্ঞান আমাদের ক্ষমতা দেয়, কিন্তু নৈতিকতা আমাদের পথ দেখায়। যদি আমরা আমাদের নৈতিকতা ভুলে যাই, তাহলে আমরা এক নতুন সংকটে পড়ব।" সংক্ষেপ
Bitte wählen Sie Ihr Anliegen aus.
Rechnungen
Retourenschein anfordern
Bestellstatus
Storno







