কৈশোরে কবিতা লেখা, প্রাক-যৌবনে প্রেমে পড়া, আড্ডা আর বেড়ানো এসব হল বঙ্গজীবনের অঙ্গ। সঞ্জয় কুণ্ডু (জন্ম ১৯৫৭, সাবড়াকোণ) বাঁকুড়া মিশন স্কুল, বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বেয়ে সেই সব স্তর পেরিয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে যান পন্তনগরে। ধোঁয়াশামুক্ত দিনে ফসলের ক্ষেত থেকে দেখা যেত কুমায়ুন হিমালয়ের রূপরেখা। সেই দেখা-অদেখা, চেনা-অচেনা মিলিয়ে এক অমোঘ মায়াবী আকর্ষণ তৈরি হয় তরুণ প্রাণে। ওখান থেকে নৈনিতাল, আলমোড়া, কৌশানি ঘুরে আসার পর সে পূর্বরাগ প্রণয়ে পরিণত হয়। ব্যাঙ্কের নীরস কর্মজীবনে হাঁপিয়ে উঠলে বারে বারেই ফিরে গেছেন হিমালয়ের বুকে। লিখে রাখতেন সেসব দেখা-অদেখার, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির বয়ান, বন্ধুদের সাথে ভাগ করে নেবেন বলে। তার কিছু টুকরো পর্যায় আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। ব্যাঙ্ক থেকে অবসরের পর ২০১৭ সালে আবার গবেষণায় যোগ দেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক্স ও প্লান্ট ব্রীডিং বিভাগে। ২০২২ সালে গবেষণাপত্র (থিসিস) জমা দিয়েছেন। মূলতঃ উর্দু শায়রী অনুবাদের কারবারি সঞ্জয় এবার তাঁর হিমালয় ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ঝাঁপি পেশ করলেন পাঠক-পাঠিকার দরবারে। এই লেখাগুলো পড়তে পড়তে ভ্রমণপিপাসু পাঠক-পাঠিকা তাঁদের নিজেদের ভ্রমণের অভিজ্ঞতার সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন, নবীনরা দিশা পাবেন। লেখাগুলির মধ্য থেকে যে নির্যাস বেরিয়ে আসে তা হল হিমালয়ের হাতছানি আর বয়সকে অতিক্রম করে সে ডাকে সাড়া দেওয়ার গভীর প্রত্যয়।
Bitte wählen Sie Ihr Anliegen aus.
Rechnungen
Retourenschein anfordern
Bestellstatus
Storno







